Tuesday 26 May 2015

মহৎ মনীষী-আকীর্ণ নরক

মুহাম্মদ নবী পৃথিবীর ১.২ বিলিয়ন মানুষের আদর্শ।


যদিও এর মাঝে জঙ্গি, মোডারেট মুসলিম, মসজিদ-মাদ্রাসা-হুজুর-আলেম তিনটি পৃথক সম্প্রদায় রয়েছে, যার যে কোনো একটি মুহাম্মদের আদর্শধারী হলে বাকি দুই সম্প্রদায় মুহাম্মদের আদর্শ মানছে না। এছাড়াও শিয়ারা হাসান হোসেনকেই আদর্শ মানে। এত সব কিছু বিচার করলে ১.২ বিলিয়ন থেকে কতজন অবশিষ্ট থাকে, যারা প্রত্যক্ষভাবে মুহাম্মদ পয়গম্বরের আদর্শে অভিভূত, তা জটিল হিসাবের ব্যাপার স্যাপার।


কিন্তু এছাড়াও কিছু মহামানব আছেন, যারা স্রষ্টা দেখিয়ে মানুষের প্রিয় হননি, জান্নাতের লোভ দেখাননি, তলোয়ার বা জাহান্নামের ভয় দেখাননি, বিশ্বাসের ফায়দা নেননি। তবুও তাঁরা তাঁদের মৃত্যুর পরেও আমাদের প্রিয় মানুষ।

কয়েকটা নাম বলি: আব্রাহাম লিংকন, মার্টিন লুথার কিং জুনিওর, নেলসন ম্যান্ডেলা...

যেখানে ইসলামও দাসপ্রথার বিরুদ্ধে নয়, মানুষে মানুষে ভেদাভেদে নিশ্চুপ, সেখানে শতাব্দীতে শতাব্দীতে আসা এই তিন মহামানব, যাঁরা ঈশ্বরদূত নযন, কিন্তু মানুষের সমান অধিকারের জন্য যে কোনো ঈশ্বরদূতের চেয়ে বেশি করে গেছেন। তাঁরা কেউই মুসলমান ছিলেন না।

Saturday 23 May 2015

ইসলাম আল্লাহর শেষধর্ম

আল্লাহর শেষ ধর্মইসলাম। ইসলাম আল্লাহর শেষধর্ম, কে বলেছে?- কোরান। কোরান কারমাধ্যমে এসেছে?- মুহাম্মদ। তাহলে এই বাণী সত্যি,তার প্রমান কী?- কোরান আছে। মুহাম্মদ কখন থেকে ধর্মপ্রচার করতে শুরু করল?- ৪০ বছর বয়সে। এত দেরীতে কেন?- কারণ তখন কিতাবনাজিল হয়েছে। কোরান নাজিলের প্রমানকী?- মুহাম্মদ বলেছে। মুহাম্মদের কথারপ্রমানকী?- কোরানে লিখা আছে। কিতাব কি আকাশথেকে পড়েছে?- না, জিব্রাইলএসে ওহী দিত। জিব্রাইল কে?- ফেরেস্তা, আল্লাহর খাসবান্দা। জিব্রাইলদেখতে কী রকম?- ৬০০ ডানা যুক্ত। কে দেখেছে?- মুহাম্মদ। আর কে দেখেছে?- কেউ না। কেন দেখেনি?- ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা উনি যে আসতো তারপ্রমান কী?- মুহাম্মদ বলেছে,কোরানে লিখা আছে। কোরান কারমাধ্যমে এসেছে?- মুহাম্মদ মুহাম্মদযে মিথ্যে বলেনি, তারপ্রমান কী?- কোরানে লিখা আছে মুহাম্মদ কীভাবেধর্মপ্রচার করেছে?- তিনি হলেন শান্তিরপ্রতীক,তিনি সুশৃঙ্খলভাবে ধর্মপ্রচার করতেন। তাহলে তিনি যুদ্ধ,সংঘর্ষইত্যাদি ঘৃণা করতেন?-হ্যাঁ, তবে কাফেদের যুদ্ধকরে হত্যা করতেন। কাফের কী?- যে আল্লাহ অবিশ্বাসকরে। তাহলে তারা কিসে বিশ্বাসকরে?- অন্য ধর্মে। তারা অন্যধর্মে বিশ্বাস করে কেন?- সে ধর্মেও কিতাবআছে এবং ঈশ্বর আছে,তারা ঐ ধর্ম সত্য মানে।

নাস্তিকতা মানেই ধর্মবিরোধিতা না।

নাস্তিকতা মানে ধর্মবিরোধিতা নয়, আমি মনে করি নাস্তিকতা মানে হচ্ছে ধর্মের মানব কল্যানমুলক কর্মকান্ডগুলো স্বীকার করে নিয়ে তার ভুলভ্রান্তিগুলো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে মানুষদের সচেতন করা, আর এতেই নিহিত আছে নাস্তিকতার সার্থকতা।
অর্থাৎ, কোনো জায়গায় যদি গোবরে পদ্মফুল জন্মাতে দেখি তাহলে আমরা সেই পদ্মফুলটাকে গ্রহন করব, শুধুমাত্র গোবরটাকেই বর্জন করব। লতিফ সিদ্দিকী বাস্তব জীবনে নাস্তিক না আস্তিক সে কথা আমি ঠিক জানি না, তবুও আমি বলব যে মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে সেই কাজটিই করতে গিয়ে তিনি কি খুব অন্যায় করেছেন ?

অনেকেই এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বলেন যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের এই দেশে ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক কথা বলে তিনি অন্যায়ই করেছেন! তাহলে আমি বলব যে যিশুখ্রিষ্ট, মুহাম্মদ (সা:) সহ অন্যান্য ধর্মপ্রচারকগণও কি অন্যায়কারী ছিলেন না ?

তারাওতো ধর্মপ্রচার করতে গিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষদের জন্য প্রচলিত কোনোও না কোনো ধর্মবিশ্বাসে আঘাত করেছিলেন! এবিষয়ে জর্জ বার্নার্ড শ যথার্তই বলেছিলেন, " সমস্ত চিরসত্য কথাগুলোই ধর্মবিরোধী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে"।

Sunday 17 May 2015

আমার আরবি ভাষাপ্রেমিক নানা

আমার নানা আরবি-প্রেমিক ছিলেন। নানা বলতেন আরবিতে বাণী দিয়েছেন আল্লাহ। আল্লাহর পবিত্র কিতাবও আরবিতে লেখা। তাই আরবি ভাষা - সব ভাষার সেরা ভাষা। এই ভাষার ওপর কোনো ভাষা নেই, কোনোদিন কোনো ভাষা এর ওপর সৃষ্টিও হবে না। খেজুরের দেশে জন্ম পবিত্র আরবি ভাষার। আরবি ভাষা মুসলিমদের ভাষা। এই ভাষা কোনো সাধারণ ভাষা নয়, আল্লাহর ভাষা। নানা আমাকে প্রতিদিন স্কুলে দিয়ে আসতেন, নিয়েও আসতেন। একবার নানাকে দেখেছি স্কুলের ডাস্টবিনের পাশে পড়ে থাকা ছেঁড়া ছোট্ট একটি পৃষ্ঠাকে চুমু খেতে। নানার প্রচণ্ড শুচিবাই ছিল; তবুও নানা ময়লা কাগজে চুমু খেয়েছিল।

নানাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম ময়লা কাগজে চুমু খাওয়ার কারণ। নানা বলেছিল, পড়তে পারি না, তবে লেখা দেখেই চিনতে পারি; এই কাগজে আরবি লেখা। আরবি ভাষা পবিত্র ভাষা; যাকে বলে আল্লাহর ভাষা। আল্লাহর ভাষায় খারাপ কিছুই লেখা থাকে না। পবিত্র ভাষার প্রতি নির্মোহ টান থেকে নানার আজন্ম ইচ্ছে ছিল খেজুরের দেশে বেড়াতে যাওয়ার।


ইচ্ছে বুকে নিয়েই নানা একদিন মারা গেলেন। কিন্তু নানার ইচ্ছে পূরণ হয়নি। নানার মৃত্যুর পর প্রতিজ্ঞা নিয়েছিলাম, বড়